On This Page
পদার্থবিদ্যা - পদার্থবিজ্ঞান – ১ম পত্র - ক্ষমতা

কোন একটি উৎসের (agent) কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে এবং একক সময়ের কৃত কাজ হারা ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়। বলের ক্রিয়ায় বস্তুর সরণ দ্রুত না ধীরে কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে কাজের পরিমাণ দ্বারা তা বুঝা যায় না—বুঝা যায় ক্ষমতা দ্বারা।

মনে করি কোন ব্যক্তি বা উৎস সময়ে W পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে। 

একক সময়ের কৃত কাজ বা ক্ষমতা,

P = কাজ/ সময় = wt

Fপরিমিত একটি ধ্রুব বল কোন কণার উপর dt সময় ক্রিয়া করে dr সরণ ঘটালে, ঐ ধ্রুব বল কর্তৃক উক্ত সময়ে কৃত কাজ, dW=Fdr

কণাটির উপর ঐ মুহূর্তে প্রযুক্ত ক্ষমতা, P=dwdt=F.drdt

কাজেই ঐ মুহূর্তের বেগ, v হলে drdt=v ও P=Fvক্ষমতা স্কেলার রাশি।

ক্ষমতার একক (Unit of power)

ক্ষমতার সংজ্ঞা হতে এর একক বের করা যায়।

ক্ষমতা = কাজ/সময় =জুল/সেকেন্ড (J/S)

এস. আই. বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার একক জুল/সে. বা ওয়াট ( watt)। 

এক সেকেন্ডে এক জুল কাজ করার ক্ষমতাকে এক জুল/সে, বা এক-ওয়াট বলে। 

“কোন যন্ত্রের ক্ষমতা 50 জুল/সে.।”—উক্ত উক্তি দ্বারা বুঝি যন্ত্রটি প্রতি সেকেন্ডে 50 জুল কাজ করতে পারে।

ওয়াট অপেক্ষা বড় মানের আরও একটি একক ক্ষমতা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর নাম কিলোওয়াট (K. W.)। 

অশ্ব ক্ষমতা : প্রতি সেকেন্ডে 746 জুল কাজ করার ক্ষমতাকে এক অশ্ব-ক্ষমতা বলে।

1 অশ্ব-ক্ষমতা = 746 জুল/ সে. - 746 ওয়াট (Watt)।

(খ) বৈদ্যুতিক ব্যবহারিক একক : ক্ষমতার বৈদ্যুতিক ব্যবহারিক একককে ওয়াট (Watt) বলে ।

'ওয়াট' পরিমাপের আস্তর্জাতিক পদ্ধতিতেও ক্ষমতার একক।

= 1 জুল/সে: 1. ওয়াট

 1 কিলোওয়াট = 1000 ওয়াট। অর্থাৎ কিলোওয়াট ওয়াট অপেক্ষা এক হাজার গুণ বড়। আধুনিক কালে কিলোওয়াট অপেক্ষা হাজার গুণ বড় অর্থাৎ ওয়াট অপেক্ষা দশ লক্ষ গুণ বড় ক্ষমতার আর একটি একক ব্যবহৃত হচ্ছে। এর নাম মেগাওয়াট (Mega watt)।

1 মেগাওয়াট (MW) = 1000 কিলোওয়াট

‘কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতা 2 মেগাওয়াট'। এর অর্থ—কেন্দ্রের সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ শক্তি দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে 2 x 106 জুল বা 2 মেগা -জুল কাজ করা যায়। 

ক্ষমতার মাত্রা সমীকরণ (Dimension of power)

আমরা জানি, 

ক্ষমতা, P=Wt

ক্ষমতার মাত্রা সমীকরণ, [P] = [বল][সরণ]/[সময় ]

 

 

৬'২২ কাজ ও ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য

কাজ ও ক্ষমতার মধ্যে নিম্নলিখিত পার্থক্য রয়েছে :

কাজক্ষমতা 
১। বল প্রয়োগে সরণ ঘটলে বল এবং বলের দিকে সরণের অংশকের গুণফলকে কাজ বলে।

১। কোন একটি উৎসের কাজ করার হারকে

ক্ষমতা বলে।

২। কাজের মাত্রা = ২। ক্ষমতার মাত্রা = 
৩। কাজ ঋণাত্মক ও ধনাত্মক উভয় প্রকারের হতে পারে।৩। ক্ষমতার কোন রকমের নেই।
৪। কাজ পরিমাপে সময়ের প্রয়োজন হয় না।৪। ক্ষমতার পরিমাপে সময়ের প্রয়োজন
৫। কাজের একক জুল।৫। ক্ষমতার একক ওয়াট।

 

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion